কৈজাশ কোয়েঝা’র একগুচ্ছ কবিতা
১.
ধোঁয়ার কবাট খুললে বেরিয়ে আসে রেশমি পাখির ডাক। শোনা যায় সমুদ্রপথের শঠকারীতা-
হবিলেস নিকোটিন দরজা আটকিয়ে দিলে আমরা টেবিলে বসি। গপ্পো জমাই নিঃস্ব বর্তমানের। কখনো টেবিল বাজাই শ্বাসের পাউডার মেখে। তাল কাটলে মন্থনের গোধূলী স্নানের জলশূন্যতা মনে পড়ে। তবু বসে থাকি মিসলটো জগের হাতলে মাথা রেখে। শুনি জলাতঙ্ক পরীদের বাসনার পরিপক্বতা।
২.
ওহে ভায়াগ্রা জাতক-
তলদেশীয় মোজার গিট্টু কলাপী মামু,
ইম্পেরিয়াল তারের জোড়ায় মাসকিন ট্যাপ পেঁচালে গতিরোধ হয় কি?
ভাবনার চোলাই গলানো শক্তিধর প্রেমিক ভায়া,
এক্সপ্রেশনের তাবিজে নজর ধরো
বেরিয়েও যেতে পারে বাঁধের ভাত শালিক
নায়াগ্রা থেমে চাদরে শুকনো বিলের টেরেস হাসতেও পারে আলতার স্বপ্নে
রাস্তায়, বস্তায় এবং ফেরেস্তায় জাতকী আতশবাজীর লকলকানি বেঁচো না, হ্যাঁ?
৩.
ভদ্র মহোদয়গণ-
ক্ষমা লেজের বিনয় পোকাটিকে মুঠো’চারেক কুচিন্তা ঠুকে দিচ্ছি!
আতরালয় হতে মার্গীয় টর্চলাইট হাতাবার ধোঁয়া নাচছিলো দ্বন্দ্বাকার যৌবনে।
ফাইনালি নাযিল হওয়ার পর হাত পড়লো নবুয়াত প্রাপ্ত চেরাগে,
চেরাগের নবুয়াতি রাহিদের ব্যারেলে তখন শতাধিক তালিমের আওয়াজ।
আওয়াজি কুদনে না-খোশ জংকার(মরিচা) হয়ে টলায়তন আমি,
মুখোশের ক্যাঁচক্যাঁচানি ফুসুরফাসুর সুরত উড়ে বেড়াচ্ছিলো লাওহে মাহফুজে।
বেদাতি ধ্যানে তাপ চটকাবার বেরাম পুষ্টিহীনতায় ভুগলে জাহেরি গুতার উঠানে দাঁড়া করানোই জায়েজ নয় কি?
সাথীগণ,
আবারো তওবার থালা ফুটো করে স্বকর্মের খানদানে খত দিয়ে মেরাজের দরজা আটকালাম।
যাতে নহলের চিকন রগে নবীদের রথ পথের শানে নুযুল আকণ্ঠ গিলতে পারে।
৪.
চাঁদের পেট থেকে ছুটে আসে মাকুমাযান তীর। দেখি প্রত্ন গুহার মুখে ইনকোসিকাস ভাষণের তালগোল। ইনটোম্বি কোরাইকরা দরদাম করছে প্রাতিষ্ঠানিক বদনার। চোখেমুখে তাগল স্বপ্নের রাতে গেংখুলি নােচ ভাসছে যিকালি কবচ। টিটকারি টিকিট হাতে কলঙ্কের কাঁচা প্যান্ডেলে ঢুকে পড়ি। এতোসব চক্কর আহাম্মকি গলিগালার বুদবুদে মিলিয়ে যায়।
৫.
ট্রান্সপারেন্ট সন্ধ্যার অন্তরের ছাদহীন ফুটপাতে আমি দাঁড়ানো।
ক্রমশ ঢুকে যাচ্ছি তাপহীন এক লাভায়-
টের পাচ্ছি পতিত অগ্নিকুন্ড হর্ণ বাজাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া টং থেকে,
প্রাগৈতিহাসিক সুর ঝাপ দিয়ে পাশ কেটে যাচ্ছে মুগ্ধতা ছাড়াই,
ফুলের জন্মমৃত্যু দেখছি কিন্তু বিভ্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক পিতামাতা দেউলিয়া,
দাসত্ব বোতলে পুরে ছুড়েছে আনমনে
গোধূলীর অন্তর্বাস ঠিকই যথার্থ তবুও এন্টি-প্রটেকশন ভলিউমে দৃশ্যমান-
দায় মাথা উচু করে দায়হীন ক্যানভাসে পানের পিক ছুঁড়ে গালগপ্পে আঁকছে হ্রস ঈ কার, পেট কাটা ষ এবং নাদুসনুদুস আষাঢ়ে আগত বর্তমান,
রাস্তায় পথ খোঁজা হয়রান আঁধার সুগন্ধী বাঁদুরের পাখায় কম্পাসদৃষ্টি মেলে তাকাতেই-
আমাদের চোখ থেকে নির্গত ব্রিজের সুতা ছিঁড়ে গেল।
ভাবনাকে হাঁটতে বলে আমি সিঁড়ি হয়ে বসার প্রস্তুতিতে হাত চালালাম।
৬.
কলকব্জা চেক করিনি প্রেমপট্টির দরজায়,
খলখল চুমুর বিভাব আওয়াজ আসে।
ইগোর অন্ধ গলি তরতর কেঁপে উঠলে,
দৌঁড়ে তিনপায়া হাসির টানেলে ঢুকে পড়ি।
উঁকি দিই মিথের টেরেস ধরে-
দেখি ছিপছিপে গালগল্প বস্তায় বস্তায় হাঁটছে
ফুল ছিঁড়ছে পরিচিত সন্ধ্যায়।
মেজমেজে স্বভাবে গুলতি মারি,
বলি- “ফুল নয় চুল ছিঁড়ুন”
নিশাণার প্রতিধ্বনি কিলবিলিয়ে ফিরে আসে!
নামতে থাকি পুকুরতলায়,
ছিপ ফেলে টোপ সাজাই পুরনো বর্তমানের
খন্ড খন্ড দীর্ঘ ঢপ ছাড়া বর্শিতে আটকায় রোগ, রাগ, গতি এবং গমন।
জিয়ল দেই স্বচ্ছতার অ্যাকোয়ারিয়ামে
এইসব ঘটনার অনুক্রম।
৭.
তোমার হাসির টানেলে তিনপায়ী জলের মৃত্যু হচ্ছিলো। ঢুকে গেলাম আড়চোখা মাছেদের খালইয়ে-
কিন্তু “নীরবতা বজায় রাখুন” চৌকির নিচেই পোতা ছিলো ক্যাঁচক্যাঁচানো বরফ।
অ্যাসেগাই ছোড়ার অট্টহাসিতে মুখরিত ফ্যান ছড়াচ্ছিলো আগন্তুক মুক্তো,
অথচ তোমার মার্চ সংক্রান্ত নাকের আয়নায় দেখা ঝিনুক স্কিপিং করছিলো আলগোছে।
এতসব নিত্য আহুতি কত হাত মানবিক?
৮.
মানুষের ছায়া থেকে হেডলাইট বেড়িয়ে
পোশাকি হাঁচি দেয়-
শোনায় কোল্ড এলার্জির তোতলামির কথা।
বেহুশ প্রথা দূরদর্শন কুদনে কপচালে
মদের মোকামে উর্বর প্যাঁচ ফুলে-ফেঁপে বাঁচে
ফসিলের রাঙতা মাখে আহা ধনিক বুদ্ধু।
তারমধ্যে-
বেরঙ বমিতে ভাসা তত্ত্বীয় ডোবা রঙ কানা ক্ষেতে চশমার পাওয়ার বোঝায়।
৯.
জুভেন্ডিস কৌশলগাছে সাত অংকের যে দৃশ্যটিকে নাচতে দেখি। তাতে মৌনতা রঙের ঘুঙুর হিজিবিজি কাঁদে।এখনো ময়ূরাসনরত দুঃখ সেকেন্ড হাতড়ায় তিন নাম্বার জোনের সেন্টার লেফ্টে।
১০.
মশকারা চাদর গায়ে হাঁটলে দোলনচাঁপার চোখ ডমিনেট বারান্দায় আশ্রয় নেয়। চোপা করে কপালের ভাঁজ। তাড়াতাড়ি কড়িডোরের গুদগুদি টের পেয়ে অসমাপ্ত পা সিসি ক্যামেরার অন্তরে দৌঁড়ায়।
১১.
অসাম্য ভাত ছিটিয়ে দেখেছি। খোলসের দাঁড়কাক আসেনি। চাতালে মানুষ হয়ে তারা ধান ভানে। তাগড়া রোদে চলেছি বটগাছের শিরা ধরে। কিরার দল ছাড়া সাবালক ডালেরা বেড়ে উঠেছে। ফুটেছে ক্ষুধার হৃদপিন্ডে।